হঠাৎ কেন দিল্লি যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা : গোলাম মাওলা রনি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান কেন হঠাৎ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন— এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে খলিলুর রহমান দিল্লি যাচ্ছেন। এটা কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক না।’

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এই বৈঠকটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় কর্মকর্তার আমন্ত্রণে এই সফর হচ্ছে। এ ছাড়া দিল্লিতে পরপর দুই দফা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। স্পষ্টতই এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। আর পাকিস্তানের হাত ধরে বাংলাদেশকে ফুটপ্রিন্ট হিসেবে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী ব্যবহার করছে বা করতে পারে বা করা হবে এরকম একটা ধোঁয়া তুলে, অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের সরকারকে নাস্তানাবুদ করার জন্য যে দিল্লির প্ল্যান; সেই সময়ে খলিলুর রহমানের এই বৈঠক নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সম্ভাবনা এবং সংখ্যার কথাগুলো বলছি। আপনারা সবাই জানেন যে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফর করেছেন। আর স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। এটি যেকোনো কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ।

যেকোনো বিচারে এটি ভারতের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটি দিল্লি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।’ ‘এরপর পাকিস্তানের জেনারেলদের ঘন ঘন বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বিশেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করে গেছেন। অন্যদিকে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত যেভাবে প্রমোট করছে এবং যেভাবে ভারতের মদদে সর্বশক্তি নিয়োগ করে বিশ্ব মিডিয়াতে শেখ হাসিনাকে তুলে ধরা হচ্ছে; এর অর্থ ভারত বাংলাদেশের যেকোনো বিষয়কে অন্য আন্তর্জাতিক যেকোনো বিষয়ের চাইতে গুরুত্ব দিচ্ছে।’

রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা বলা হোক বা না হোক, কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। তাদের কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো তাদের সরকারি যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন তারা এবং একই সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়া আর আওয়ামী লীগের যারা লোকজন আছেন, তারা তো মোটামুটি প্রচার করার জন্য একেবারে উন্মুখ হয়ে বসে আছেন। তো দেখা যাক, কত ধানে কত চাল হয়, কোথাকার চাঁদ কোথায় উঠে আর কোথাকার সূর্য কোথায় গিয়ে অস্ত যায়।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘হাসিনা যাদের মায়া করে নাই, তাদের উচিত হাসিনার জন্য মায়া না দেখানো’

» আঠারো কোটি মানুষের আদালতে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা হাদির

» ৬ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে সরকার

» জকসু নির্বাচন জবি ছাত্রদল-ছাত্র অধিকারের সমন্বিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা

» রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

» প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রসাধনী জব্দ,গ্রেফতার ১

» দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

» সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

» সকালের নাশতায় যে ভুল করবেন না

» ঐক্যেই উত্থান, অনৈক্যে পতন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

হঠাৎ কেন দিল্লি যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা : গোলাম মাওলা রনি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান কেন হঠাৎ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন— এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে খলিলুর রহমান দিল্লি যাচ্ছেন। এটা কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক না।’

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওবার্তায় রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এই বৈঠকটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় কর্মকর্তার আমন্ত্রণে এই সফর হচ্ছে। এ ছাড়া দিল্লিতে পরপর দুই দফা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। স্পষ্টতই এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। আর পাকিস্তানের হাত ধরে বাংলাদেশকে ফুটপ্রিন্ট হিসেবে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী ব্যবহার করছে বা করতে পারে বা করা হবে এরকম একটা ধোঁয়া তুলে, অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের সরকারকে নাস্তানাবুদ করার জন্য যে দিল্লির প্ল্যান; সেই সময়ে খলিলুর রহমানের এই বৈঠক নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু সম্ভাবনা এবং সংখ্যার কথাগুলো বলছি। আপনারা সবাই জানেন যে পাকিস্তান নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফর করেছেন। আর স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পাকিস্তানি নৌবাহিনীর কোনো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। এটি যেকোনো কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ।

যেকোনো বিচারে এটি ভারতের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এটি দিল্লি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।’ ‘এরপর পাকিস্তানের জেনারেলদের ঘন ঘন বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বিশেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণ করে গেছেন। অন্যদিকে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত যেভাবে প্রমোট করছে এবং যেভাবে ভারতের মদদে সর্বশক্তি নিয়োগ করে বিশ্ব মিডিয়াতে শেখ হাসিনাকে তুলে ধরা হচ্ছে; এর অর্থ ভারত বাংলাদেশের যেকোনো বিষয়কে অন্য আন্তর্জাতিক যেকোনো বিষয়ের চাইতে গুরুত্ব দিচ্ছে।’

রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা বলা হোক বা না হোক, কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। তাদের কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো তাদের সরকারি যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন তারা এবং একই সঙ্গে ভারতীয় মিডিয়া আর আওয়ামী লীগের যারা লোকজন আছেন, তারা তো মোটামুটি প্রচার করার জন্য একেবারে উন্মুখ হয়ে বসে আছেন। তো দেখা যাক, কত ধানে কত চাল হয়, কোথাকার চাঁদ কোথায় উঠে আর কোথাকার সূর্য কোথায় গিয়ে অস্ত যায়।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com